সিঙ্গাপুর থেকে দুই কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সিঙ্গাপুরের দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ক্রয়ের পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার।
দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সিঙ্গাপুরের দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ক্রয়ের পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার কোটি ৮৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা।
সচিবালয়ে গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৩৫তম সভায় এসব প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সিঙ্গাপুরের মেসার্স আরামকো ট্রেডিং সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে এই এলএনজি ক্রয়ে ব্যয় হবে ৪৯৭ কোটি ৯০ লাখ ৭০ হাজার ৪০০ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির মূল্য ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৮৫ ডলার।
একই বিভাগের আরেকটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। সিঙ্গাপুরের মেসার্স গানভর সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে এই এলএনজি ক্রয়ে ব্যয় হবে ৫০২ কোটি ৯৪ লাখ ৯১ হাজার ৩৯৮ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির মূল্য ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৯৭ ডলার।
এছাড়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর আওতায় ‘অয়েল অ্যান্ড গ্যাস ভ্যালু চেইনের কার্বন হ্রাসে কারিগরি সহায়তা’ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য নরওয়ের কার্বন লিমিটস এএস থেকে পরামর্শক সেবা গ্রহণ করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি ৫২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
অন্যদিকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে কেনা হবে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার। এতে ব্যয় হবে ২১২ কোটি ৯৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা। প্রতি টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৭৯ ডলার।
একই মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডার কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে আমদানি করা হবে ৪০ হাজার টন মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১৭৭ কোটি ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। প্রতি টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৬১ ডলার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে কেনা হবে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৩৮১ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রতি টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৭৮ ডলার।
এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় পর্যায়ে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে কেনা হবে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার। এতে ব্যয় হবে ১৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। প্রতি টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫২ দশমিক ৬২ ডলার।
একই মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের টিএসপিসিএলের জন্য ১০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এ অ্যাসিড সরবরাহ করবে চীনের গুয়ানজি পেনগুই ইকো-টেকনোলজি। এতে ব্যয় হবে ১০২ কোটি ১৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। প্রতি টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৯৩ দশমিক ৮০ ডলার।