অমিতাভকে প্রভাবিত করতে নিরামিষভোজী হয়েছিলেন রেখা

বলিউডের ইতিহাসে ভালোবাসা, গ্ল্যামার আর বিতর্কের মিশ্রণে গড়ে উঠেছে বহু কাহিনি। তার মধ্যে অন্যতম আলোচিত অধ্যায় অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন ও রেখাকে ঘিরে গড়ে ওঠা ত্রিভুজ। কয়েক দশক পেরিয়ে গেলেও এ নিয়ে আলোচনার ঝড় থামেনি।

সম্প্রতি প্রবীণ সাংবাদিক পূজা সামন্ত হিন্দি রাশ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, তার সূত্র বলছে—অভিনেত্রী রেখা একসময় অমিতাভকে প্রভাবিত করার জন্যই নিরামিষভোজী হয়ে উঠেছিলেন।

পূজা সামন্ত বলেন, “তাদের মধ্যে মোহের একধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বটে, তবে আমি মনে করি না সেটা প্রেম ছিল। কারণ, অমিতাভ তখনই জয়াকে বিয়ে করেছেন।”

তিনি আরও স্মরণ করান, ঋষি কাপুর ও নীতু সিংয়ের বিয়েতে সিঁদুর পরে হাজির হয়েছিলেন রেখা। এতে করে বর-কনের বিশেষ দিনটি আড়ালে পড়ে গিয়েছিল এবং আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন একমাত্র রেখা।

এর আগে চলচ্চিত্র ইতিহাসবিদ হানিফ জাভেরিও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন। ‘মেরি সহেলি’ পডকাস্টে তিনি বলেন, অমিতাভ-রেখার সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন যখন তুঙ্গে, তখন জয়া বচ্চন স্বামী শুটিংয়ে বাইরে থাকার সময় রেখাকে বাড়িতে লাঞ্চে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে এক পর্যায়ে জয়া রেখাকে স্পষ্ট ভাষায় বলেন—
“দেখো, অমিতাভ আমার ছিল, আছে এবং আমারই থাকবে।”

রেখা পরে ১৯৯০ সালে ব্যবসায়ী মুকেশ আগারওয়ালকে বিয়ে করেছিলেন। তবে দুঃখজনকভাবে কয়েক মাস পরেই মুকেশ আত্মহত্যা করেন। অন্যদিকে অমিতাভ ও জয়া ১৯৭৩ সাল থেকে দাম্পত্য জীবন শুরু করে আজও একসঙ্গে পথচলা অব্যাহত রেখেছেন। তাদের দুই সন্তান অভিষেক ও শ্বেতা বচ্চন বর্তমানে বলিউডের পরিচিত মুখ।

অভিনয়জীবনে অমিতাভ-রেখা একসঙ্গে উপহার দিয়েছেন একাধিক কালজয়ী ছবি—দো অঞ্জানে, মিস্টার নটবরলাল, সুহাগ, মুকাদ্দর কা সিকান্দার এবং সিলসিলা।

রেখা সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া সুপার নানি ছবিতে। অপরদিকে অমিতাভ বচ্চন বর্তমানে জনপ্রিয় কুইজ অনুষ্ঠান কৌন বানেগা ক্রোড়পতি-এর ১৭তম মৌসুম সঞ্চালনায় ব্যস্ত।