চীন ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সক্ষমতা ও সহযোগিতার সুযোগগুলো তুলে ধরার লক্ষ্যেই “বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ এক্সিবিশন” আয়োজিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, “আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও আইডিয়া শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম এই এক্সিবিশন। এর মাধ্যমে ট্রেড ও ইনভেস্টমেন্টের সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি জানানো হয়।
বিনিয়োগ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ ৩০০ শতাংশ বেড়েছে। তবে উৎপাদন ও প্যাকেজিং খাতে চীনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যেতে পারবে। তিনি বলেন, “আমাদের দুর্বলতা খুঁজে বের করতে হবে এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।”
অবকাঠামো ও পরিবহন খাতে সহযোগিতা
শেখ বশিরউদ্দীন জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়। এ অবস্থায় সড়ক অবকাঠামো ও পরিবহন খাতে উন্নয়ন জরুরি। এজন্য বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী চীনের কাছ থেকে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রেসিপ্রোকল ট্যারিফ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আগামী রবিবার যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে আসছে। প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে ট্যারিফ কাঠামো নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ
চীনা দূতাবাস আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ৮টি ও চীনের ৩২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। দুই দেশের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে আয়োজিত এই মেলায় অবকাঠামো, প্রযুক্তি, টেলিকম, স্বাস্থ্য, কৃষি, শক্তি, পরিবহন ও লজিস্টিকসসহ নানা খাতের প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে।
